রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প - বান্ধবী বউ-২: তারপর আমি ওখান থেকে চলে আসি। আর রাত্রে হালকা কিছু খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়েই কাজের উদ্দেশ্যে বের হলাম। কিন্তু আজকেও যখন কোন কাজ না পেয়ে হতাশ হয়েই সন্ধার সময় বাড়ির দিকে আসছিলাম।
তখনি দেখি একটা লোক রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পরে আছে। তাকে এ অবস্থায় দেখে আমি অনেকটাই ভয় পেয়ে যাই।
এজন্য আমি দ্রুত ওখান থেকে চলে যেতে ধরলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন যানিনা মনে একটা কথাই ভেষে উঠল। যদি লোকটা বেচে থাকে? তাহলে ত লোকটাকে হাসপাতালে নিলে বাঁচতে পারে। কিন্তু আবার ভাবলাম যদি পুলিশ কেস হয়?
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
ওখানে নিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই দেখলাম ডাক্তাররা ওনাকে দ্রুত অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। আর এতে আমি একটু অবাকও হলাম। কেননা সাধারণত এরকম কোন রক্তাক্ত লোককে যদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে ডাক্তাররা বলে আগে পুলিশের পারমিশন নিয়ে আস।
আরো কত কি? যাই হোক, ওনাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে দেখলাম মুহুর্তে হাসপাতালের চারপাশে পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছে।
(যেন মনে হচ্ছে ভিতরে কোন সন্ত্রাসি আছে। আর তাকে যেন ধরতে আসছে) পুলিশের একজন অফিসার দেখলাম ডাক্তারদের সাথে কি বিষয় নিয়ে যেন কথা বলছিলেন। আর ডাক্তাররা হাতের ইশার করে আমার দিকে কি যেন দেখিয়ে দিলো।
আর এতেই পুলিশ অফিসার তাকে আর কিছু না বলেই আমার দিকে ক্ষুদার্ত বাঘের মত আসছে। (আমি ওনার চোখ মুখ দেখে কেমন যেন ভয় লাগছে। বার বার মনে হচ্ছে এই বুঝি আমাকে বলে বাবু মামা বাড়ী চল।)
পুলিশের সাথে কাব্য অফিসার আমার কাছে এসেই বলতে লাগল, অফিসারঃ এই ছেলে তোমার নাম কি? (খুব শান্ত ভাবে) আমিঃ স্যার আমি কাব্য আহম্মেদ অফিসারঃ তা তুমি স্যারকে কিভাবে চেন? কাব্যঃ স্যার আপনার কথা ঠিক বুঝলাম না। আমি আপনাদের কোন স্যারকে তো চিনি না।
অফিসারঃ অহ্ সরি। স্যার বলতে আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম যে প্রিন্সিপাল স্যার মানে যাকে তুমি হাসপাতালে নিয়ে এসেছো তাকে কি তুমি কোন ভাবে চেন? কাব্যঃ না স্যার, ওনাকে তো আমি চিনি না।
আমি রাস্তায় ওনাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এখানে নিয়ে এসেছি। অফিসারঃ ওহ্ আচ্ছা, ঠিক আছে।
0 Comments