Short Love Story Bangla 2023

Short Love Story Bangla 2023 – বাসর রাতে শা’রীরিক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তে হঠাৎ আমার স্ত্রী বলে উঠলো, আমি ভা’র্জিন না। এর আগেও আমি এক ছেলের সাথে শা’রিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছি শা’রিরীক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তে এসব শুনে আমি আমার মনটাই ভে’ঙে গেলো। সেই সাথে রাগও হচ্ছে অনেক।

হিয়াকে বললাম, এসব কি এখন বলার সময়? বিয়ের আগে কেনো বলতে পারলেনা। প্রতিটা ছেলেরই বাসর রাত নিয়ে ফ্যান্টাসিতে থাকে৷ তুমি এসব বলে সব শেষ করে দিলে। বিয়ের আগে তো আমরা অনেক কথা বলেছি তখন তো তুমি এসব কিছুই বলোনি। এমনকি তোমার রিলেশন ছিলো তাও বলোনি।

এই মুহুর্তেই এটা কেন বলতে হলো তোমার হিয়া বললো, আমার রিলেশন ছিলোনা। এবার আরও রেগে গেলো আহনাফ। রাগ কন্ট্রোল করে হিয়াকে বললো, এইমাত্র বললে এক ছেলের সাথে শা’রিরীক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলো আবার এখন বলছো রিলেশন ছিলো না৷

Short Love Story Bangla 2023

কি অদ্ভুত কথা বলছো তুমি হিয়া বললো, রিলেশনে না থাকলে কি শা’রিরীক সম্পর্ক হয় না? ‘ মানে? ‘ যার সাথে আমার শা’রীরিক সম্পর্ক ছিলো ও আমার বেস্টফ্রেন্ড। আমরা ছোটবেলা থেকে একে অপরের ভালো ফ্রেন্ড ছিলাম।

আমরা সবসময় একে- অপরের সাথে আড্ডা দিয়েছে তাই আলাদা করে আর বিফ/জিএফ দরকার হয়নি কারও। ওর সাথে শা’রিরীক সম্পর্কের জন্য আমিই আগ্রহী ছিলাম।

ও অবশ্য ছিলো কিন্তু কখনও আমাকে ফোর্স করেনি। ‘ তাহলে তাকে বিয়ে করলে না কেন? ‘ আমরা শুধুই বেস্টফ্রেন্ড ছিলাম অন্য কোনো অনুভূতি ছিলোনা আমাদের। ‘ তাহলে শা’রীরিক সম্পর্কে করলে কেন? ‘ তার জন্য জিএফ/বিএফ টাইপ অনুভূতির দরকার হয়না। মানসিক তৃপ্তির জন্যও শা’রিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হয় মানুষ।

আমাদের দুজনেরই যৌ’ন চাহিদা ছিলো কিন্তু জিএফ/ বিএফ টাইপ অনুভূতি ছিলোনা কারও প্রতি। ‘ তাহলে আমাকে বিয়ে করলে কেন? ‘ কারন আপনার প্রতি আমার সেই অনুভূতি ছিলো ‘ সত্যিটা তো লুকাতেও পারতে৷

শা’রিরীক সম্পর্কের ঠিক আগমুহূর্তেই কেন বললে? ‘ আপনি আমার সাথে শা’রিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হলে তো বুঝেই যেতেন আমি ভা’র্জিন না৷ আর আমি আপনাকে মিথ্যা বলতে চাইনি তাই সত্যিটা বলে দিলাম। আহনাফের নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

ওর ইচ্ছে করছে হিয়াকে থা’প্পড় মা’রার৷ কিন্তু তা পারছেনা। এসব কথা শোনার পর কোনো ছেলেই আর রাগ না করে থাকতে পারবেনা৷ অথচ হিয়া কি স্বাভাবিক ভাবেই এসব বললো। মনে হয় ওর কাছে এসব নর্মাল বিষয়। হিয়া বললো, চুপ কেন? কিছু বলছেন না কেন? ‘ রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছি৷

কোনো সুস্থ মানুষ তোমার এমন কথা শুনতে পারবেনা৷ ‘ তাহলে কি আপনি অসুস্থ? ‘ এইমাত্র অসুস্থ হলাম তোমার কথা শুনে৷ ইচ্ছে করছে তোমাকে থা’প্পড় মা’রি।

শা’রীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে কিন্তু তাকে ভালোবাসোনা। তোমাদের কাছে এসব নর্মাল বিষয়। চাহিদার জন্য সে’ক্স করো কিন্তু তার প্রতি ভালোবাসা নেই। ‘ আপনি বলছেন যাকে ভালোবাসেন তার সাথেই কেবল সে’ক্স হয় ‘ আমি তেমনটাই জানি৷ আমার তোমাকে পছন্দ তাই তোমাকে বিয়ে করেছি।

এখন কি আমি অন্য কারও সাথে শা’রিরীক সম্পর্কে লিপ্ত হবো নাকি৷ ‘ আমাকে পছন্দ হওয়ার আগে কি আপনার চাহিদা ছিলোনা? ‘ ছিলো কিন্তু আমি কন্ট্রোল করেছি। বিয়ের পরই কেবল এসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ ‘ আর আমি কন্ট্রোল করতে পারিনি৷ ‘ তোমারা এই যুগের মেয়েরা বড়ই অদ্ভুত। এসবকে স্মার্টনেস ভাবো।

আপনি কোন যুগের? ‘ তোমার থেকে ৫/৬ বছরের বড়। তাই অবশ্যই তোমাদের যুগের না৷ ‘ তা এখন কি করবেন? ‘ ঘুমাবো ‘ কেন শা’রিরীক সম্পর্ক করবেন না? আপনার তো অনেক ফ্যান্টাসি ছিলো বাসর রাত নিয়ে ‘ বা’লের ফ্যান্টাসি। এসব বলে মুডটাই নষ্ট করে দিছো।

আমি বুঝতে পারলে বুঝতাম তোমার এসব বলার দরকার ছিলোনা৷ কতটা আগ্রহী ছিলাম আমি৷ আর তুমি এসব বলে সব শেষ করে দিলে৷ ‘ ভাবলাম আপনি বুঝে গেলে কি রিয়্যাক্ট করবেন তাই আগেই বলে দিতাম।

এই রিয়্যাক্টের কথা ভাবলে বিয়ের আগেই বলে দিতে পারতা ‘ বিয়ের আগে যদি জানতেন আমি ভা’র্জিন না তাহলে কি আমায় বিয়ে করতেন না? ‘ না ‘ আচ্ছা এসব শুনে আপনার কি করতে ইচ্ছে করছে? ‘ থা’প্পড় মা’রতে তোমাকে৷ আমি যখন অতিরিক্ত রেগে থাকি তখন থা’প্পড় মা’রতে ইচ্ছে করে। ‘ ধন্যবাদ ‘ কেন? ‘ এই যে দুটো সত্যি কথা বললেন৷

আর তুমি এমনই সত্যি কথা বলেছো যে আমার বাসর রাত মাটি হয়ে গেছে। ‘ সরি ‘ রাখো তোমার সরি। আহনাফ বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গেলো। ফ্রেশ হয়ে এসে একটা সি’গা’রেট ধরালো। হিয়াকে বললো, সি’গা’রেট খাবে? ‘ আমি খাইনা এসব ‘ অবাক করার মত।

তোমার মত মেয়েরা যারা স্মার্ট তাদের তো সি’গারেট খাওয়ার কথা। তা তুমি এটাতে অনীহা দেখাচ্ছো কেন? ‘ এটার স্মেল আমার পছন্দ না। আমার উ’ই’স্কি পছন্দ। মাঝে মধ্যেই ফ্রেন্ডরা মিলে পার্টি করতাম। ‘ ছেলে- মেয়ে উভয়? ‘ হ্যা,পার্টি মানে তো এটাই বুঝায়।

আমরা গ্রুপ স্টাডিও করতাম সবাই একসাথে। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি একটু বেশিই আদিমকালের। তাও ভালো যে সি’গা’রেট খান। ‘ আগে জানলে তোমার জন্য উ’ইস্কি এনে রেখে দিতাম। সে’ক্স করার মুড চলে গেলো আসো তোমার সাথে গল্প করি।

তুমি তোমার লাইফের কথা বলবে আমি আমারটা। দেখবো কারটা বেটার। ‘ আমারটা তো আপনি জানবেনই৷ এই যুগের ছেলে- মেয়েদের সম্পর্কে সবাই জানে৷ কিন্তু আপনাদের ব্যাপারে আমার ধারনা নেই। ‘ সবাই সব জানে তার ভিতরেও অনেক সিক্রেট থাকে৷ আমি সবকিছু শুনতে চাই৷ ‘ বুঝতে পারছি আমি। ‘ হ্যা সেটাই। হঠাৎ হিয়ার মোবাইলে ম্যাসেজ আসলো৷

আহনাফ জিজ্ঞেস করলো, কে মেসেজ দিয়েছে? ‘ ফ্রেন্ড ‘ ছেলে না মেয়ে? ‘ মেয়ে। আচ্ছা আপনি ফ্রেন্ড বলার পরও ছেলে- মেয়ে জিজ্ঞেস করেন কেন? ‘ আমরা ফ্রেন্ড বলতে শুধু ছেলেকেই বুঝতাম। আর মেয়ে হলে তখন আগেই বলে দিতাম মেয়ে ফ্রেন্ড। কিন্তু তোমাদের কাছে ফ্রেন্ড মানে দুটো সমান৷

তা কি মেসেজ দিলো? ‘ জিজ্ঞেস করছে কি করছি? আমাদের আগে থেকেই সবার প্ল্যান করা প্রত্যকের বাসর রাতে এরকম মেসেজ দিয়ে মজা করবো। ‘ আর তোমরা বাসর রাতের কথা বলে দিবে? ‘ হ্যা, কেন সমস্যা? ‘ না, তা এখন কি বলবে? আচ্ছা ওয়েট। ওকে মেসেজ করছি, যা করার কথা তাই করছি।

রিপ্লাই আসলো, দুলাভাই কোথায়? ‘ যেখানে থাকার কথা৷ ‘ ভালোই তো। সব শুনবো পরে। এখন বিরক্ত না করি। আহনাফ বললো, কত স্বাভাবিক ভাবে তোমরা নিজেদের ব্যাক্তিগত আলাপ করছো। আনইজি/ লজ্জা লাগছেনা। ‘ ফ্রেন্ডদের সাথে আবার কিসের লজ্জা।

ভালোবাসার গল্প

যাকে চিনিনা জানিনা তার সাথে আনইজি লাগবে৷ ‘ তোমাদের প্রজন্মের কাছ থেকে অনেক কিছু জানার আছে৷ ‘ আপনি রিলেশন করেছিলেন? ‘ বিয়ের আগেই তো বলেছিলাম আমি একজনকে ভালোবাসতাম কিন্তু মেয়েটা অন্য কাউকে ভালোবাসতো৷ ‘ ওহ হ্যা, বলেছিলেন।

তা মেয়েটাকে আপনার ভালোবাসার কথা বলেছিলেন? ‘ মেয়েটা জানতো। ‘ মেয়েটার সাথে দেখা হয় এখন? ‘ তা আর সম্ভব না। ‘ যেই ছেলেটার সাথে রিলেশন ছিলো মেয়েটার। সেই ছেলেটা? ‘ একদিন আমি সেই ছেলেটাকে আমার বাসায় ইনভাইট করি। বাহিরে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিলো।

ভাবলাম খিচুড়ি খাওয়া যাক। দুটো প্লেটে খিচুড়ি নিয়ে আমি আর ছেলেটা পাশাপাশি বসি আর মেয়েটাকে নিয়ে কথা বলি। আমি ছেলেটাকে বলি আমার ভালোবাসার কথা৷ কতটা ভালোবাসতাম ওকে সেটা বলি।

আমার কথা শুনে ছেলেটা বলে, আমি কখনই ওকে কষ্ট দিবোনা। ‘ তুমি অলরেডি কষ্ট দিচ্ছো ওকে। ছেলেটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, কিভাবে? ‘ খিচুড়ির সাথে যে মাংস খাচ্ছো তা মেয়েটারই

Post a Comment

0 Comments