রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী ২০২১. ঢাকায় গিয়ে আমাদের কথা একদম ভুলে যাস তাইনা। একদম মনে পড়েনা বাড়ীর.
মায়ের ভেজা ভেজা কন্ঠে কথাটি শুনে বুকের বাম পাশে চিন চিন করে উঠলো।
নিজের প্রতি নিজেরই কেমন যেন খারাপ লাগা কাজ করলো। বাড়ী যাওয়ার পর আর মনে হয়না এই ব্যাস্থ শহরে আবার ফিরে আসি। কিন্তু ঢাকায় আসলে একদম ভুলে যাই বাড়ীর কথা। ঘুরাঘুরি, আড্ডা, লেখাপড়া এতকিছুর ভিড়ে মনেই পরেনা বাড়ী যাওয়ার কথা। রুমমেটের অনেককেই দেখি রিগুলার বাড়ীতে ফোন দেয়।সবার সাথেই কথা বলে।কিন্তু আমি যেন একটু অন্যরকম।বাড়ী থেকে আসছি
প্রায় মাসখানেক হয়ে গেল, অথচ এ পর্যন্ত মাত্র একবার বাড়ীতে ফোন দিয়েছিলাম।আর আজ আম্মু ফোন দিয়ে এই কথাটা
শুনিয়ে দিল।
- তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আগামীকালই বাড়ী যাব,,,,
- যেই ভাবা সেই কাজ,,,
- অনলাইনে বিনিময় বাসের একটি টিকিট বুক করে ফেললাম।তারপর
- কাপড়চোপড় গুছিয়ে ব্যাগে ভরে সেদিনের মত ঘুমিয়ে গেলাম,,,
- পরের দিন সকালে উঠেই রওনা দিলাম বাড়ীর উদ্দেশ্যে,,,
- মেস থেকে বেরিয়ে সি.এন.জি নিয়ে চলে আসলাম বাসস্ট্যান্ডে,,,
- কিন্তু বাসে উঠেই মনটা খারাপ হয়ে গেল।কারন জানালার পাশে সিট পাইনি।
আমাদের ভার্সিটি থেকে একবার স্টাডি ট্যুরে নিয়ে যাবে কক্সবাজার।সেই ট্যুরেও এমন জানালার পাশে সীট পাইনি বলে ট্যুরটাই বাতিল করে দিয়েছিলাম আমি। কিন্তু আজকের ট্যুর টা তো বাতিল করা যাবেনা।আম্মু যে আমার পথ চেয়ে বসে আছে,,,,
যাইহোক, তবুও পাশের সিটের যাত্রী আসার পূর্ব পর্যন্ত আমি জানালার পাশের সিটেই বসে রইলাম।
গাড়ি ছাড়ার আর মাত্র ৫ মিনিট বাকি।
কিন্তু এখনও আমার পাশের সীটের যাত্রীটি আসেনি।
গাড়ী ছেড়ে দিচ্ছে, কিন্তু এখনও আমার পাশের সিট মানে জানালার পাশের সীটের কাওকে চোখে পড়ছেনা।আমি জানালার পাশেই বসে আছি।
আমি কিন্তু মনে মনে খুশিই হচ্ছি কারন জানালার পাশের সীট'টিতে তাহলে আমিই বসে যেতে পারব।
গাড়ি চলা শুরু করেছে।হঠাৎ এমন সময় নীল জামা পড়া একটা মেয়ে আমার পাশের
সিটে ধপাস করে বসে পড়ল, মনে হয় চলন্ত গাড়ীতে দাড়িয়ে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেনাই তাই হয়তো এখানে বসে পড়েছে।
কিন্তু আমার ধারনাকে ভুল প্রমানিত করে সে তার টিকেট খানা আমার চোখের সামনে ধরে বললো,,,
- জানালার পাশের ১৭ নাম্বার সীট টা আমার।
এমন ভাবে বলছিল যেন সে এই সীট টা কিনে নিয়েছে। একবার বলতে চাইলাম, সীট টা কি আপনি কিনে নিয়েছেন নাকি। কিন্তু পরক্ষনেই ভাবলাম, নাহ্ অচেনা এক মেয়ের সাথে শুধু শুধু তর্কে জড়ানোর কি দরকার। আর সত্যি কথা বলতে গেলে তাকে প্রথম দেখাতেই আমার ক্রাশ খাওয়ার কার্যটা সম্পন্ন হয়ে গেছে। নীল রং এমনিতেই আমার পছন্দের। আর মেয়েটাও দেখতে খারাপ না। তাই আমিও ভদ্র ছেলের মত তার জানালার পাশের সিট
ভালোবাসার গল্প 2021
টা ছেড়ে দিয়ে আমার আসন গ্রহন করলাম।এমন একজন সুন্দরীর পাশে বসে এতটা পথ পাড়ি দিব এইবা কম কিশে,,
আমি ভাবলাম যে করেই হোক মেয়েটার সাথে ভাব জমাতে হবে। এতো সুন্দরী
একটা মেয়ের পাশে বসে এতটা পথ পাড়ি দিব, আর তার সাথে কথা হবেনা এটা
কি হয়,,??
তার দিকে তাকিয়ে বললাম,,
- হাই,, আমি রাকিব।
কিন্তু তার ভাব দেখে মনে হলো আমার কথা সে শুনতেই পারেনি। সে তার হেডফোন টা কানে লাগিয়ে নিজের মনে ফেবু চালাইতেছে। গাড়ী চলছে তার আপন
গতিতে। আর জানালার ফাক দিয়ে আসা হালকা বাতাসে তার চুলগুলো উড়ে এসে আমার মুখের উপর পড়ছে।
আমি ভালোই উপভোগ করছিলাম সময়টাকে।
কিন্তু হঠাৎ তার চোখ আমার দিকে পড়তেই বলল
- স্যরি,,,
তারপর তার মোবাইলটি বাসের দুই সীটের মাঝখানটায় রেখে ব্যাগ থেকে নীল রংয়ের একটি গাডার বের করে তার চুল গুলো
বেধে ফেলল।
- আর এই ফাকে তার মোবাইলের স্ক্রিনে
- তাকিয়ে দেখি তার প্রোফাইল নেইম আর লাষ্ট স্টেটাস টা স্ক্রিনে ভাসতেছে।
- স্টেটাস আর প্রোফাইল নেম দেখে তো আমার চক্ষু চরক গাছ।
- তাহলে এই কি সেই মেয়ে যাকে একটি বারের জন্যেও না দেখেই তাকে জীবনের
- চেয়ে বেশি ভালোবেসেছি।
এই মেয়েটিই কি সে যার সাথে ফেবুতে আমার এক বছরের রিলেশন।অথচ কেউ কাওকে একটি বারের জন্য দেখিনি বা দেখার প্রয়োজনও মনে করিনি।
এটিই কি সেই মেয়ে যার কাছে পিক চাইলে বলতো সে পিক দিবেনা আমার সাথে সরাসরি দেখা করবে।
এই কি আমার সেই স্বপ্নের নীল পড়ি।
হঠাৎ মেসেন্জারের মেসেজের শব্দে বাস্তবে
ফিরে এলাম। সেই নীল পড়ি আইডি থেকেই মেসেজ টা আসছে।
বাবু কি করছো,,?? জানো বাবু, বাসে
আমার পাশের সীটে একটি ছেলে বসছে, ছেলেটি আমার দিকে কেমন হা করে তাকিয়ে আছে, আমার খুব বিরক্ত
লাগছে। কি করি বলতো,,,,
মেসেজ টা পাওয়ার পর আমার মনে আর বিন্দুমাত্র সন্দেহ রইলোনা যে ইনিই
আমার নীল পড়ি। তাই আমিও
রিপ্লে দিয়ে দিলাম,,,
নীল জামাটিতে তোমাকে নীল পড়ির মতোই লাগছে।আর কি দরকার ছিল চুল গুলো বাধার।ভালোই তো
লাগছিলো খোলা চুলে।
মেসেজটি সিন করার পড় দেখি মেয়েটি চোখভড়া বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে,
- Bangla Love Story,LOVE,রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী,ভালোবাসার গল্প 2021,
0 Comments