Bangla Romantic Love Story 2022

 Bangla Romantic Love Story 2022

আজকের আকাশটা পুরপুরি পরিষ্কার, চাঁদ মামা আজ মেঘের আড়ালে নিজের কলঙ্কিত মুখ লুকিয়ে রাখেনি। আপন প্রতাপে নিজের রুপের আলোয় আলোকিত করে রেখেছে চারিদিকে। চাঁদের আলো নীল আকাশে এক অন্য মায়ার আভা তৈরি করেছে।  যদিও আজ আকাশে সম্পূর্ন চাঁদ নেই, তার চার ভাগের একভাগ কে জেনো ভাগ বসিয়ে রেখেছে... তারপরেও চাঁদ মামার রুপের কোন কমতি নেই। 

সিঁড়িতে দাড়িয়ে তাই আজ চাঁদের খোলামেলা রুপ উপভোগ করছি।  চাঁদ দেখতে দেখতে সিগারেট ধরিয়ে তাতে কষিয়ে সবেমাত্র দু'টো টান দিয়ে এক ফুঁতে সব ধোয়াঁ বের করে দিতেই চার বছর আগের একটি ঘটনার কথা মনে পরে গেলো "একটি ডায়েরী

Bangla Romantic Love Story 2022


যেদিন বৃষ্টি হয়ে ছিলো, মুশুলধারে নয়... গুড়ি গুড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে রেডী হয়ে ভার্সিটির দিকে রওনা দেবার জন্য বাস স্টপজে গিয়ে দাঁড়ালাম। মিনিট দশেকের মধ্যেই 'অনাবিল' চলে আসলো, তাতে উঠে পরে একদম পিছনের সিটে দিকে চোখ পরলো পুর সারি ফাঁকা। আমি সাধারন্ত পিছে বসতেই বেশি পছন্দ করি তা সে যেকোন জায়গায় হোক না কেন। 

ক্লাসে, বাসে, মিটিংএ, সভা, সমাবেশে যেকোন জায়গায় পিছনের সিট গুলো আমার পছন্দের; এর কিছু বিশেষ বিশেষ কারনও আছে যেমনঃ পিছনে বসলে সামনের সব কিছু ভালো ভাবে প্রত্যক্ষ করা যায়, কোন বিপদ হলে সবার আগে দৌড়ে পালানো যায়, ফাঁকিবাজি করা যায়, ঘারে ব্যাথা হওয়ার কোন চান্স নেই, এছাড়াও আরো অন্যান কারন আছে যার কারনে পিছনের সিটে বসতেই আমার বেশি পছন্দের। 

তো নিজের স্বভাবসুলভ ভাবে পিছনের সিটে বসতে যাবো কিন্তু খেয়াল করলাম সিটার উপরে "একটা ডায়েরী" পরে আছে। খুবই অবাগ হলাম ডায়েরীটা দেখে, কার ডায়েরী?? কে ফেলে গেছে?? ভুলে গেছে নাকি?? চিন্তা করতে করতে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ নেই; যখন বাসে উঠছিলাম তখনো কাউ কে পিছন থেকে নামতে দেখিনি আর পিছরে সিটে আমি ছাড়া আর কোন মানুষও নেই। 

Bangla Romantic Love Story 2022

বাসের পিছনের দিকটা ফাঁকাই ছিলো... তাহলে ডায়েরীটা এলো কোথা থেকে?? কেউ মনে হয় আগের স্টপেজে মনের ভুলে ফেলে রেখে গেছে, এই কথা চিন্তা করতে করতে ডায়েরীটা হাতে নিয়ে সিটাতে বসে পরলাম। 

ডায়েরীটার প্রথমে যেখানে নাম, ঠিকানা লেখার জন্য বিশেষ ফর্মের মত অংশটা থাকে তা বের করে ডায়েরীর মালিকের ঠিকানা বের করার জন্য খুললাম... কিন্তু দুঃখের বিষয় সেখানে নাম ছাড়া আর কিছুই লেখা নেই। নামটাও কেমন অদ্ভুত ধরনের প্রথবার দেখে কিছু বুঝতে পারলাম না। 

দ্বিতীয়বার পড়ার পর বুঝতে পারলাম নামটা, কিন্তু এ কেমন নাম? এই নাম তো আগে কখোন শুনিনি...... প্রথম অংশটুকু ছেলেদের নামের মত হলেও শেষ অংশটা কেমন মেয়েলী মেয়েলী। আজব ধরনের এক নাম "অনন্ত হিয়া

  • নাম নিয়ে চিন্তা করতে করতে দেখলাম একজন পিছনের দিকে আসছে, তাড়াতাড়ি ডায়েরীটা বন্ধ করে ব্যাগের ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলাম। কারন ডায়েরীটা পড়ার একটা লোভ জেগে উঠেছিল মনে। যদি ডায়েরীটা সেই লোকটির হয়... আর তিনি ডায়েরীটা আমার হাতে দেখতে পেয়ে নিয়েনেন!!

 তাহলে আর জীবনে ডায়েরীটা আমার পড়া হবে না। সেই ভয়ে ডায়েরীটা নিজের ব্যাগে লুকিয়ে রাখলাম, লোকটা পিছনে এসে চুপচাপ আমার পাশের সিটে বসে পরল, আমিও চুপচাপ বসে থাকলাম। বাস আজমপুর (উত্তরা) এসে থামলো আমি বাস থেকে নেমে গেলাম। 

Post a Comment

0 Comments