ভালোবাসার গল্প 2021 | ছোট প্রেমের গল্প | LOVE STORY 2021 | মীরা রোজ স্কুলে যেত, আর সেই পথে,
দাড়িয়ে থাকতো একটা গরীব নি:শ্ব ছেলে,
ছেলেটির বাবা মা কেউ নেই।
চায়ের দোকানে সারাদিন কাজ করে,
আর সকাল বিকাল মীরার পথে দাড়িয়ে থাকে।
মীরার বাবা একদিন মীরাকে নিয়ে সেই চায়ের
দোকানে চা খেতে গিয়েছিলো আর ঐ ছেলে
সেখানেই প্রথম মীরাকে দেখে আর মীরাকে তার
তখন থেকেই সেই ছেলেটি মীরার
পেছনে পড়ে থাকে।খুব কষ্ট করে মীরার বাসা খোঁজ
করে এবং পেয়েও যায়।
শেষে জানতে পারলো
মীরা কোন এক রাস্তা দিয়ে রোজ সকাল বিকাল
স্কুলে যাওয়া আসা করে।
প্রথম যেদিন মীরা তাকে সেই পথে দাড়িয়ে
থাকতে দেখে কিছু না ভেবেই তার পাশ কাটিয়ে
বাসায় চলে আসে।
পরেরদিনও মীরা দেখতে পেলো ঐ ছেলেটি
আজকেও তার পথে দাড়িয়ে আছে,,,
এভাবে তিন চারদিন তাকে তার পথে দাড়িয়ে
থাকা দেখে কিন্ত কোন কথা বলে না।
সেই সময় দুজনেই ছোট,,,,
একদিন মীরা ছেলেটিকে বলে,,,,
মীরা: এই ছেলে তোমার নাম কি?
ছেলেটি মাথা নিচু করে বললো নীরব...
মীরা: বাহ "সুন্দর নাম তো!!
তুমি কোথায় থাকো...???তুমি কি স্কুলে যাওনা..???
নীরব: না, আমার বাবা মা কেউ নেই।
ঐ যে দেখছো চায়ের দোকানটি ওখানে
আমি কাজ করি,আর চায়ের দোকানেই রাতে
ঘুমাই।
ভালোবাসার গল্প 2021 | ছোট প্রেমের গল্প | LOVE STORY 2021
মীরা: ও, আচ্ছা!! তুমি প্রতিদিন এখানে দাড়িয়ে
থাকো কেনো,,,,?? কার অপেক্ষায় থাকো...??
নীরব কিছু না বলেই চলে যেতে থাকে....
মীরা: আজব তো..!! এই ছেলে চলে যাচ্ছো
কেনো...???
নীরব আবার পেছনে ফিরে তাকায় কিন্ত
কিছু না বলেই চলে যায়।
পরেরদিন মীরা মুখটা ভারি করে স্কুলে যাচ্ছে....
নীরব তার কালো মুখ দেখে বললো.,,,
নীরব: কি হয়েছে কাঁদছো কেনো..???
মীরা: আমি কাঁদছি তাতে তোমার কি..???
এই বলেই নীরবের পাশ কেটে স্কুলে চলে যায়।
কিন্ত এ দিকে মীরা তার কথার উত্তর না
দেওয়ায় নীরব সারাদিন ঐ পথেই বসে
থাকে।
বিকেলে যখন মীরা স্কুল থেকে ফিরে
নীরবকে সেখানেই দাড়িয়ে থাকতে দেখে।
আবার নীরব তাকে বললো,,,
নীরব: বলনা কি হয়েছে...??
কিন্ত, মীরা আবারও তার কথার উত্তর
কোন
না দিয়েই চলে যায়।
,,,,,,,
এদিকে নীরব সারাদিন মীরার পথে দাড়িয়ে ছিলো
বলে চায়ের দোকানি তার উপরে রেগে যায় এবং
খুব মারধর করে নীরবকে।
সেদিন থেকে কয়েকদিন আর মীরার পথে দাড়িয়ে
থাকতে দেখা যায় না নীরব কে।
নীরবকে না দেখে মীরার মনে সংকট বাধেঁ....
নীরবকে দেখতে সেই চায়ের দোকানে
যায় মীরা।
মীরা চায়ের দোকানের বাইরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে
নীরবের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং নীরবের
কষ্ট দেখে তারও প্রচন্ড কষ্ট হয়।
নীরবের এমন
কষ্ট দেখে সহ্য হলো না মীরার...
তাই নীরবকে কিছু না বলেই
চলে আসে মীরা।
ভালোবাসার গল্প 2021
নীরব মীরাকে তার দোকানের সামনে দাড়িয়ে
থাকতে দেখলেও তার কাছে গিয়ে কথা বলার
মতো সাহস হলো না।
কিন্ত,,,পরেরদিন ঠিকই মীরার পথে দাড়িয়ে
রইলো নীরব।
সেদিন মীরার স্কুল বন্ধ ছিলো, তারপরেও সেই পথে
চলে আসে শুধুই নীরবকে দেখতে।
দুজনে কথা বলছে,।
ছোট প্রেমের গল্প
নীরব: আজ তোমার স্কুলের ব্যাগ কোথায়?
মীরা: জানিনা।
নীরব: তাহলে কোথাও যাবে বুঝি?
মীরা: জানিনা।
নীরব: জানিনা মানে কি..???তাহলে কেনো আসলে..??
মীরা : (এবার রেগে বলছে) জানি না না না না নাহ।।
বলে চুপ করে দাড়িয়ে রইলো....
নীরব কিছুটা চমকে উঠে, তারপরেও প্রশ্ন করছে।
নীরব: কালকে আমার কাছে গিয়েছিলে কেনো..???
জানো,,আমি সেইদিন সারাদিন তোমার অপেক্ষায়
ছিলাম বলে চায়ের দোকানের মালিক আমাকে
খুব মেরেছে.....
মীরা কে তার হাতের তালু মেলে
দেখায়,প্রচন্ড মারের চিন্হ তার হাতের তালুতে।
মীরা তার হাতের তালু দেখে তার চোখে কান্না চলে
আসে।
মীরা আর চুপ করে থাকতে পারলে না।
মীরা: তাহলে ঐ চায়ের দোকানে কাজ করো কেনো..??
নীরব: কাজ না করলে খাবো কি...??
জানো আমি বাবা
মা কে দেখিনি..!! আমার এক চাচা আমাকে নাকি
এই চায়ের দোকানে রেখে চলে গেছে....
কিন্ত আর
কখনো আমাকে দেখতেও আসেনি....
আচ্ছা তুমি সেদিন স্কুলে কান্না করতে করতে
গিয়েছিলে কেনো...??
মীরা: মা বকেছিলো তাই।
হারানো ভালোবাসার গল্প
নীরব: কেনো বকা দিয়েছে..??
মীরা: আরে জানো না আমি নাকি শুকিয়ে যাচ্ছি
তাই আমাকে বেশি বেশি করে খেতে বলছিলো।
হাহাহাহা,, হিহিহিহি,,,,করে ঐ সময় দুজনেই
হাসতে থাকলো।বেশ মজার ছিলো ঐ সময়টুকু।
নীরব: তাহলে আজ যাই কেমন,ল...???
বেশি দেড়ি হয়েছে
না গেলে আবার আমাকে মারবে ঐ বেটা চায়ের
দোকানি, এই বলে ভো দৌড় মারে নীরব।
মীরা: আরে আরে কথা শেষ না করেই চলে যাচ্ছো..???
যাও....!!!কাল থেকে কিন্ত আর আসবোনা...!!
নীরব মীরার কথা শুনে বললো... তোমাকে আসতেই হবে।
মীরা: কিছুটা হেসে ফেলে এবং বাসায় চলে আসে।
ভালোবাসার ছোট ছোট গল্প
পরেরদিন মীরা বেশ সেজেগুজে আসে।
হাতে কিছু
ফুল নিয়েও আসছে...
তার পরনে লাল সাদা শাড়ী, হাতে রেশমি চুড়ি
দেখে অবাক
হয়ে হা করে তাকিয়ে রইলো নীরব।
মীরা: কি দেখো এমন করে..??
নীরব: ওরে বাবা পালাই..!!! এ কে আসলো রে.??
মাটিতে হঠাৎ পরীর আগমন।
মীরা কিছুটা লজ্জা পায় নীরবের কথায়।
মীরা: আজ তোমাকে বলতেই হবে।
নীরব: কি বলবো?
মীরা: তুমি রোজ আমার জন্য দাড়িয়ে থাকো কেনো..???
নীরব: আগে তুমি বলো আজ সেজেগুজে আসছো কেনো...???
মীরা: আরে না. এই শাড়িটা আমার মামা আমার জন্য
নিয়ে আসছে.... মা পড়িয়ে দিলো তাই একটু তোমাকে
দেখাতে নিয়ে আসলাম....কি শাড়িতে কেমন লাগছে আমায়...???
নীরব: শাড়ি পড়ছো এই বলে তোমাকে
ভালো দেখাচ্ছে তা নয় তোমাকে আমি যেদিন তোমাকে শাড়ী ছাড়া দেখেছি আমার ভালো লেগেছে.....আর তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি....
মীরা: আমি তোমার জন্য একটা জিনিস এনেছি
নিবে।
নীরব: হ্যা,,,
মীরা তখন নিজের আঙুলের আঙটি টা খুলে
নীরবের আঙুলে পড়িয়ে দেয়।
নীরব: আমি তোমাকে কি দিবো...???
একটা টাকা ছাড়া যে আর কিছুই নেই আমার কাছে।
মীরা: না আমার কিছু চাই না।
নীরব: আমাকে তুমি মনে থাকবে তো...??
তোমরা অনেক বড় লোক।
কেনো জানি ঐ সময় নীরবের বুকটা ঠিকই
কেমন করে উঠছে, তার মনটা একা হয়ে যাচ্ছে,
কিন্ত সেটাকে প্রকাশ করার মতো ভাষা খুঁজে পেলনা নীরব...
মীরা: ধেত কি বলো...?? তুমি তো আমার বন্ধু।
সত্যিকারের ভালোবাসার গল্প
তোমাকে কি ভুলা যায়...???
এমনটা যেন দুজনেই মনে করছে....
আলাদা হয়ে যাচ্ছে....
না হলে আজ ভুলবার কথা বলছে কেন দুজনেই..??
একে অপরের থেকে বিদায় নিলো।
কিন্ত মন যেন কেমন করছে দুজনেরেই।
ফিরে ফিরে দেখছে বারবার একে অপরকে।
,,,
ঠিক তেমনটাই হলো।
মীরা সাতদিন ধরে এই পথ দিয়ে স্কুলে
যাও য়া আসা করেনা।
নীরব কি করবে এখন
...??
উপায় না পেয়ে মীরার বাসা অবধি পৌছায়।
কিন্ত,,,বাসায় কেউ নেই।
ছোট মানুষ কি আর করবে...??
দুজনকে বললে
তারা উত্তর দিলো,,,,,
মীরারর বাবার প্রমোসন হয়েছে।
তারা এখন
কোথায় কেউ বলতে পারেনা।
মীরাকে সাতদিন না দেখতে পেয়ে নীরব কিছুটা
পাগল হলেও,,,পেটের দায়ে কোনরকম চায়ের দোকানে
কাজ করে আর প্রতিদিন সেই পথে সেই সময় দাড়িয়ে
থাকে, কিন্ত আর ফিরছেনা মীরা।
তবুও মীরার অপেক্ষায় থাকে পাগলাটা।
প্রায় কেটে যাচ্ছে,,, সাতটা বছর।
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী
পাগলাটা বুঝতে শিখেছে,তাই ভাবছে।
মীরা কি আর তার জন্য ফিরে আসবে...???
এই প্রশ্নের কোন উত্তর আমার জানা নেই।
তাই লিখতে পারলাম না।
,,,,,,,,
মীরা একজন মেয়ে তাও আবার কোটিপতির
মেয়ে, অনেক ছেলেই তার জন্য পাগল।
লেখাপড়া করতে করতে পাগলীটাও আজ বড়।
আজকে কি আর সেই সামান্য একটা চায়ের
দোকানের কর্মচারীকে মনে থাকবে?
অনেক বড় বড় সুন্দর স্মার্ট ছেলেরা আজ
তার পেছনে।
একটা সময় আসে যে মীরার বিয়ে পর্যন্ত ঠিক
হয়ে যায়।
মীরা না বললে তার বাসা থেকে চাপ দেয়।
কিচ্ছু না উত্তর না দিয়ে হঠাৎ বাসা থেকে
উধাও মীরা।
চলে আসছে ভালবাসার টানে।
ঐ আকাশ থেকে মাটির কোন একটা মানুষের খোঁজে....
কিন্ত খুঁজে কি পাবে তারে...???
,
চলে আসছে সেই পথে,,যেখানে দাড়িয়ে
থাকতো রোজ তার পাগলা টা।
প্রতিদিন পাগলটা ঠিকই দাড়িয়ে থাকতো
কিন্ত আজ হঠাৎ পাগলাটা অসুস্থ।
তাই আসতে পারেনি।
অনেক সময় কাটার পর,সেই চায়ের দোকানে
এলো।নীরবের কথা বলতেই সবাই চমকে উঠে।
উঠবেই বা না কেনো,,,,
সবাই জানতো,,নীরব একটা নি:শ্ব ছেলে।
কিন্ত আজ হঠাৎ কে এই মেম সাহেব।
মীরা: বললো,,,,নীরবের কাছে আমায়
একটু
পৌছে দিন প্লিজ,,,,।
শেষে কেউ তাকে নিয়ে যায় নীরবের
সেই গরীব কুটিরে।
পাগলটা সারাজীবন যতটুকু আয় করেছে
তা দিয়ে মাত্র একটা খড়ের কুটির বানিয়েছে।
কুটির থেকে বাইরে আসে নীরব।
তার মনে ঠিকই ধরা পড়লো সে কে।
মীরা সবার আগে তার হাত ধরে আর
সেই আঙুলে তার দেয়া আঙটিটা আছে কি না
সেটা দেখে।
বেঙ্গলি ভালোবাসার গল্প
কিন্ত এ কি দেখলো,,,যেমন করে তার আঙুলে
আঙটি টা পড়িয়ে দিয়েছে ঠিক তেমনি আছে।
বড় হয়েছে তবুও আঙটিটা খুলেনি।
আঙটিটা বেশ চেপে আছে,যেখানে আছে
সেই যায়গাটা কিছুটা ক্ষত।
এমনটা দেখলেই চোখে কান্না আসে মীরার।
মীরা: এটা খুলে রাখনি কেনো?
দেখনি আঙুলটি কেমন ক্ষত হয়েছে।
নীরব: খুললে যদি হারিয়ে ফেলি। সেই ভয়ে
খুলে রাখিনি।
এ কথা শুনতেই মীরা নীরবকে বুকে জরিয়ে নেয়।
ভালবাসার অসীম একটা ক্ষমতা আছে।
ভালবাসার মানুষগুলো যত দুরেই থাকুক না কেনো,
এক সময় ঠিকই কাছে টেনে নিয়ে আসে।
যদি সেটা সত্যিকারের ভালবাসা হয়। ভালোবাসার গল্প 2021
অন্যান্য পোস্ট সমূহ
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী ২০২১
Bangla Romantic Love Story 2022
Cute Love Story | Best Romance Novels | Love At First Sight
কালো ছেলের প্রেমে পড়লো এক সুন্দরী মেয়ে
দুষ্টু মিষ্টি রোমান্টিক প্রেমের গল্প || New Short Love Story
রোমান্টিক ভালোবাসার ছোট গল্প | The Love Of My Life
Valentine's Day - A Love Story Bangla
1 Comments
সত্যিকারের ভালোবাসার গল্প
ReplyDelete