আমার জীবনের ভালবাসা সত্য প্রেমের গল্প | The Love Of My Life True Love Story
আমার জীবনের ভালবাসা সত্য প্রেমের গল্প | The Love Of My Life True Love Story. তারিকুলের সাথে কিছু কথা বলে বাড়ী চলে আসলাম। বাড়ী এসতেই, বাবা মাসুদ! তোমার টাকা লাগবে তুমি আমাকে বলো নি কেন? দেখ এখন তুমি লিমার স্বামী আমাদের সব কিছুই তোমাদের। তোমার কিছু লাগলে তুমি সোজা এসে আমাকে বলবে তুমি তা না করে লিমার সাথে রাগারাগি করলে কেন? দেখ বাবা তুমি আমাদের সব নিয়ে নাও কিন্তুলিমাকে কষ্ট দিও না (পলাশ আঙ্কেল কথাগুলো বলেই আমার হাতে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো ধড়িয়ে দিলেন) আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না তার কথা। আমি তো কিছুই করি নি বা বলিনি তবে আঙ্কেল এগুলো কি বললেন আমায়!ছোফায় চোখ পরতেই দেখি লিমা আন্টির কাছে বসে কাদছে।
আমার জীবনের ভালবাসা সত্য প্রেমের গল্প
তখন কাল রাতে লিমার কথাগুলো মনে পড়ে গেলো “আমার বাবা তোকে অনেক বিশ্বাস করে। আগে তোকে বাবার কাছে খারাপ বানাবো তারপর বাবা নিজেই আমাদের ডিবোর্স করাবেন” এবার বুঝলাম এসই লিমার সাজানো খেলা। আমী ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে রুমে চলে গেলাম। ফ্রেস হয়ে এসে ছোফায় বসলাম তখনি লিমা রুমে আসলো। কেমন লাগলো আজকের নাটক? (লিমা) হুম ভালোই। তোমার টাকা টেবিলের উপর রাখা আছে।
হুমম গুটবয় আমার বাবার টাকায় তুই হাত দিবি না। (লিমা) আচ্ছা লিমা আমি তোমায় বলেছি তোমায় ডিভোর্স দিয়ে দিবো তবুও কেন আমায় আঙ্কেলের কাছে খারাপ বানাচ্ছো? কারন তোকে আমি দেখতে পারি না। তোকে দেখলেই আমার গা-জ্বলে তাই তোকে এ বাড়ী থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করছি মাত্র। (লিমা) তোমার যা ইচ্ছা করো তবে মনে রেখো তুমি যত বড় গর্ত খুড়বে একদিন তাতে তোমাকেই পড়তে হবে এবং সে দিন তুমি হাজার় চেষ্টা করেও নিজের খোড়া গর্ত থেকে উঠতে পারবে না। কথাটা বলেই আমি রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লাম।
আরে যা যা বেশি নীতি কথা বলতে আসিস না। (লিমা) আমি চলে আসলাম ছাদে বসে বসে ভাবতে লাগলাম, লিমাতো আমায় দেখতেই পারে না তো ওকে কেন ভালোবাসবো আমি! কেন আমি ঐ মানুষটাকে আকড়ে বাঁচতে চাইবো যাক দুই চোঁখের কাটা আমি! না লিমাকে মুক্তি দিয়ে দিবো। ও যা চায় করুক। কিন্তু আঙ্কেল যদি আমায় বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয় আমি কোথায় থাকবো! আমার পড়ালেখার খরচই বা চালাবো কি করে! না যাই হয়ে যাক আমার পড়া লেখা চালিয়ে যেতে হবে। পৃতিবীতে আমার থাকার জায়গার অভাব হবে না। আর অনাথ হওয়ার পরেও খোদা যখন আমায় এতো দুড় এনেছে তবে বাকী পথটাও আমায় কোনো ভাবে চালিয়ে নিবেন।”
কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই সন্ধা হয়ে গেলো। রুমে গিয়ে একটু বই নিয়ে বসলাম। রাতে সবার সাথে ডিনার করে এসে ছোফায় সুয়ে পড়লাম। এখন এটাই আমার বেড হবে গেছে। একটু কষ্ট হলেও এখন ধিরে ধিরে সয়ে যাচ্ছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্রেক-ফাস্ট করে ইউনিভার্সিটির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এখন আর পলাশ আঙ্কেল আমায় নিউশনি করতে দেয় না। কেম্পাসে পৌছাতেই তারিকুলের সাথে দেখা। ভাই কেমন যাচ্ছে তোর দিনকাল? (তারিকুল) হ্যা রে ভাই ভালো। তোর?
আমার আর কি ভাই সব কিছু থেকেও নেই নেই। এভাবে ভালো থাকার কোন মানেই নেই রে ভাই। জীবনটা উদ্দেশ্যহীন হয়ে পরেছে। জানি না কোন তীরে গিয়ে ভিড়বে আমার জীবন। (তারিকুল) ভাই মন খারাপ করিস না। আচ্ছা বাদ দে। বল লিমার সাথে তোর কি কত দূর? (তারিকুল) না রে ভাই লিমার সাথে আমার কিছুই হবে না। ও আমায় একদমই সহ্য করতে পারে না। ভাই জানিস কতটা ভালোবাসি ওকে কিন্তু ওকে বোঝাতে পরি নি। পরি নি ওকে বলতে ভালোবাসি। কখনো সুযোগই দেয়নি ও বলার। আমি দূড়ে সড়ে গেলেই ও ভালো থাকবে ভাই তাই ভাবছি ও যা চায় তাই হবে আমি ওকে ডিভোর্স দিয়ে দেব। মুক্ত করে দিব ওকে।
True Love Story
কিন্তু ভাই তোর কি হবে! তুই তো ওকে ভালোবাসিস! (তারিকুল) ছোট থাকতে আমার একান্ত আপন মানুষ দুটোকে হাড়িয়ে ফেলেছি, নিজের রক্তও যখন আমায় দূরে ঠেলে দিয়েছিলো তখনও আমি বেঁচে ছিলাম। তো এবারও পারবো বেশি কষ্ট হবে না। আসলে ভালোবাসার মানুষগুলোকে হাড়াতে হাডাতে অভ্যাস হয়ে গেছে। ভাই রে কিছুই বলার নেই তোকে। তোর নিয়তিটা তোকে দিন দিন পাথর বানিয়ে দিচ্ছে তবে আল্লার ওপর নিরাশ হোস না তিনি নিশ্চই তোর জন্য আরো ভালো কিছু রেখেছে। (তারিকুল) হ্যা ভাই আল্লাহর কাছে অভিযোগ নেই। হয়তো এখন জীবনে কষ্ট আছে তবে সেই কষ্টগুলো সেয়ার করার মতো একটা ভাইওতো দিয়েছে আমায়। কথাটা বলতেই তারিকুল আমায় জড়িয়ে ধরলো।
তারপর আরো কিছু কথা হলো তারিকুলের সাথে। তারপর ক্লাস করতে গেলাম। ক্লাস শেষে তারিকুলকে বিদায় জানিয়ে বাড়ী ফিড়লাম। আজও লিমার একটা সাজানো নাটক শুরু। আঙ্কেল আমায় অনেক কিছুই বললো, চুপচাপ থাকলাম। কোন প্রতিবাদ করলাম না। জানি প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হবে না। আমি রুমে চলে আসলাম। বাথরুমে সাওয়ারের নিচে অনেক সময় দাড়িয়ে থাকলাম ভাবতে লাগলাম আমার ভালোবাসার মানুষটাকে। ওর কাজের ফলে মনে চায় ঠাটিয়ে দুটো চর মাড়ি কিন্তু ওর ঐ মায়াবি মুখটা দেখলেই নিজের মধ্যে কোন রাগ ধরে রাখতে পারি না। খুব ভালোবাসি তো ওকে। ও কি আমায় মেনে নিতে পারতো না! কি ক্ষতি হতো আমায় মেনে নিলে! কি ক্ষতি হতো আমার একটু ভালোবাসে বুকে জড়িয়ে নিলে! ও কি বোঝে না শত অপমানের পড়েও একমাত্র ওর কারনেই পড়ে আছি ওর কাছে!
The Love Of My Life True Love Story
খুব কাদতে ইচ্ছা করে। কেদে একটু নিজেকে হালকা করতে মন চাইছে। বুকটা ফেটে যাচ্ছে কিন্তু চোখ দিয়ে একটুও পানি বেড় হচ্ছে না চিৎকার করতে মন চাইছে। আমি যেন দিন দিন পাগল হয়ে যাচ্ছি। গোছল শেষ করে রুমে এসে বসলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই লিমা রুমে এসে শুয়ে পড়লো। অপলক তাকিয়ে আছি ওক চাঁদ মুখানার দিকে। কতটা মায়া ভড়া এই মুখটায়! যত দেখি যেন মন ভড়েনা! খুব ইচ্ছা করছে কপালে অলতো একটা ছোয়া দিই। কিন্তু কোন এক অজানা কারনে পারছি না। বিকেল টাইম তাই বাড়ীর বাইড়ে চলে গেলাম একটু হাটতে। রাস্তা দিয়ে হাটছি এমন সময়, এই যে মাসুদ ভাইয়া! (একটি মেয়ে) আমি পিছনে ফিরে, জ্বি আমাকে বলছেন! জ্বি ভাইয়া। (মেয়েটি) হুমম বলুন!
ভাইয়া আমি সালমা। আপনার এক বেজ জুনিয়র। আসলে ভাইয়া একটা কথা বলার ছিলো কিন্তু কিভাবে যে বলি! (মেয়েটি মাথা চুলকাতে চুলকাতে) আরে বলো সমস্যা নেই। চলুন ভাইয়া হাটতে হাটতে বলি (মেয়েটি মানে শিউলি) হুমম চলো। তারপর দুজন হাটতে লাগলাম। মেয়েটি হয়তো এমন কিছু বলতে চাইছে যা বলতে একটু একটু ভয় পাচ্ছে। হুমম বলো কি বলতে চাও! আসলে ভাইয়া! আমি তারিকুলকে ভালোবাসি। কিন্তু ওকে কিছুতেই বলতে পারছি না। আপনি ওর বেস্ট ফ্রেন্ড প্লীজ এ
0 Comments