বাংলা ভালোবাসার গল্প . Love At First Sight. Best Romance Novels and Love You Forever

বাংলা ভালোবাসার গল্প -💚Love, At First Sight, | Best Romance Novels | 💙Love You Forever

বাংলা ভালোবাসার গল্প -Love At First Sight  Best Romance Novels  Love You Forever


বাংলা ভালোবাসার গল্প -Love At First Sight | Best Romance Novels | Love You Forever | খুলনা থেকে ঢাকায় যাচ্ছি। উদ্দেশ্য লেখা-পড়া। নিজের ব্যাপারে বলার মতো কিছুই নেই। আমি অনাথ। তবে একসময় সবই ছিলো কিন্তু এক সড়ক দুর্ঘটনায় হাড়াতে হয় সব। ছোট থাকতেই আমার কাকা সব কিছু নিজের করে আমায় ঠেলে দিয়েছিলো অনাথ-আশ্রমে। 

সেখানে থেকেই বাবার এক বন্ধুর সাহায্যে লেখা পড়া চালিয়েছি। বাবার বন্ধুর নাম ইয়াসিন চৌধুরি। আমার ইন্টার শেষ। ভালো রেজাল্ট করেছি। তাই উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও ঢাকায় নতুন। ঢাকা বিশ্বদিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক ইয়াসিন আঙ্কেলের বন্ধু। তিনি আমাকে তার সাথেই আগে দেখা করতে বলেছে। তাই ঢাকা পৌছেই আগে চলে গেলাম তার কাছে।

বাংলা ভালোবাসার গল্প 

ও হ্যা, আমার নাম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ রানা। গ্রামের অতি অসাধারণ ছেলে, পুরোনো কাপড় যা স্বাধারনত মানুষ এতিমদের দিয়ে থাকে সেগুলোই গায়ে। ঠিকানা অনুযায়ী এসে পৌছালাম এক বিশাল অট্টালিকার সামনে। দারোয়ান আমায় ভিতরে যেতে দিচ্ছিলো না। কেনই বা দিবে! আমার চেয়ে হয়তো এই বাড়ীর চাকরগুলোর গেট-আপ ও অনেক ভালো। নিরাশ হলাম না নিচে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কাছে ফোনও নেই যার দ্বারা ইয়াসিন আঙ্কেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারি।

 যাইহোক, বিকাল পর্যন্ত বাড়ীর সামনে বসে থাকলাম। বিকালে এক লোক আমায় জিগ্গাসা করলো। তুমি কে বাবা! (লোকটি) জ্বি আমি মাসুদ। এখানে কি চাই বাবা! (লোকটি) জ্বি আমি পলাশ স্যারের সাথে দেখা করতে এসেছি। তুমি কি খুলনা থেকে এসেছো! খাদিজা তোমায় পাঠিয়েছে! (লোকটি)  জ্বি। ইয়াসিন আঙ্কেলই আমায় পাঠিয়েছে। কিন্তু আপনি জানলেন কি করে? আমি পলাশ আলম। তুমি যার সাথে দেখা করতে এসেছো এমি সে। তা তুমি ভিতরে না গিয়ে এখানে কেন বসে আছো? (লোকটি)  আসলে স্যার, দারোয়ান আমায় দেখে ডুকতে দিচ্ছিলো না তাই বাহিড়েই আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ও আমারই ভুল। আমার ওকে তোমার ব্যাপারে বলে রাখা উচিৎ ছিলো। আচ্ছা আসো ভিতরে এসো। (পলাশ আঙ্কেল) তারপর আমি তার বাড়ী ডুকলাম। খুব বড় আর সুন্দর বাড়ী। ভিতরে গিয়ে তিনি আমায় বসতে বললেন। আমি বসলাম,

love at first sight

love at first sight


খাদিজা তোমার ব্যাপারে সবই বলেছে। আর আমি তোমার রেজাল্টও দেখেছি। আমি তোমার বাবাকে চিনতাম। অনেক ভালো লোক ছিলেন তিনি। অনেক উপকার করেছেন আমার। আজ তোমার জন্য কিছু করতে পেরে নিজের কাছে একটু আনন্দ লাগছে। তোমার ভর্তি পরিক্ষার আর পনেরো দিন আছে। আমি আজই তোমায় প্রয়োজনীয় বইয়ের ব্যবস্থা করে দিবো। তুমি তোমার প্রস্তুতি শুরু করে দিও। (পলাশ আঙ্কেল) জ্বি আঙ্কেল। রহিম! মাসুদকে ওর রুমটা দেখিয়ে দে (একজন কাজের লোককে উদ্দেশ্য করে)। যাও বাবা ফ্রেস হয়ে একটু বিশ্রাম নাও। (পলাশ আঙ্কেল) জ্বি

আমি চলে আসলাম। বেস ভালো একটা রুম। এযেন আমার মতো অনাথের কাছে সপ্নের মতো। আমি ফ্রেস হয়ে বিছানায় শুয়ে ভাবতে লাগলাম ”’সত্যি কি আজব দুনিটা! নিজের রক্তের সাথে সম্পর্কিত মানুষগুলো আমায় অনাথ হয়ে জীবন যাপনে বাধ্য করলো আমার সব কিছু নিয়ে নিলো আর কিছু অপরিচিত মানুষ আমায় অনাথ জীবন থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে, এনে দিতে চাইছে অনেক কিছু, দেখাতে শেখাচ্ছে সপ্ন। সত্যি সমাজের কিছু মানুষের মধ্যে মানবতা নামের আজকের সমাজের মরিচিকাটা এখোনো বেঁচে আছে। কিন্তু একজন অপরিচিত মানুষ আমার জন্য আর কতো করবে!

আমি অপরিচিত হওয়ার পডরেও যায়গা দেয় নিজের ঘড়ে, তিন বেলা আহারের ব্যবস্থা করে। তার কাছ থেকে আর কিছু কিভাবে চাই আমি! আমার লেখাপড়া চালাতে গেলেতো টাকার প্রয়োজন। আর তা আমি ইয়াসিন আঙ্কেল বা পলাশ আঙ্কেলের কাছ থেকে কিছুতেই নেওয়া যাবে না।  আমাকে কিছু একটাতো করতেই হবে। আর এই ছেড়া কাপর পরে ঢাকায় চলাচল করাও সম্ভব না, এতে আমার কিছু না হলেও পলাশ আঙ্কেলের মানহানী হবে কারন তিনি আমায় আশ্রয় দিয়েছেন। আর আমার দ্বাড়া আমার উপকারকরীর কোনো ক্ষতি হোক এটা কখনোই চাইনা।

যাই হোক কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লাম। বিকালে উঠে ফ্রেস হয়ে দেখি টেবিলে কিছু বই রাখা আছে তার মানে এগুলো পলাশ আঙ্কেল রেখে গেছেন। আমি একটা বই নিয়ে পড়তে লাগলাম। হঠাৎ করেই পলাশ আঙ্কেল, বাবা রাতের খাবারটা খেয়ে তারপর আবার পড়তে বসো। এখন আসো।

best romance novels

best romance novels

আঙ্কেলের কথা শুনে বাইরে তাকিয়ে দেখি রাত হয়ে গেছে। তাই আঙ্কেলের সাথে চলে গেলাম খাবার টেবিলে। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, আমি বাড়ী আসার পর থেকে আঙ্কেল ও কিছু কাজের লোক ছাড়া আর কাওকে দেখলাম না। তাই খাওয়ার টেবিলে আঙ্কেলকে জিগ্গাসা করলাম, আঙ্কেল! বাড়ীতে কি আপনি একাই থাকেন? মানে আন্টিকে দেখছি না! তোমার আন্টি তার বাবার বাড়ী গেছে। কিছুদিন সোখানেই থাকবে। তার এখানে আসতে আসতে হয়তো তোমার এডমিশন টেস্ট শেষ হয়ে যাবে (পলাশ আঙ্কেল) ও আচ্ছা।

তারপর খাবার খেয়ে রুমে চলে আসলাম। আর কিছুক্ষন বই পড়ে তারপর ঘুমিয়ে পড়লাম। আসলে এখন সপ্ন পড়া লেখা করে অনেক বড় কিছু করার অনাথ বাদেও নিজের আরো একটা পরিচয় গড়তে চাই। এভাবেই চলছে দিনগুলো। দেখতে দেখতে এডমিশন টেস্ট চলে আসলো। খুব ভালো হয়েছে পরিক্ষা। এখন মূল সমস্যা হচ্ছে ভর্তি ফি। আমার দ্বাড়া এখন এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। 

চাকরিই খোজ করতে লাগলাম। কিন্তু জানা ছিলো না এখন ছোটখাটো একটা চাকরির জন্যেও মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। এক রাশ হতাশা নিয়ে ফিরে আসি প্রতিদিন। দেখতে দেখতেই এডমিশন টেস্টের রেজাল্ট চলে আসে আল্লাহর রহমতে ভালো রেজাল্ট করেছি। যার কারণে অনেক সুবিধাই পাওয়া যাবে। এখন কথা হচ্ছে ভর্তি হওয়া।  আজও চাকরির আশায় বেড়িয়ে ছিলাম ফলাফল শূন্য। রাতে বাড়ী এসে ফ্রেস হয়ে বসলাম। মাথায় নানার চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। রাতে আঙ্কেল খাওয়ার জন্য ডাকলেন আমি চলে গেলাম খাবার টেবিলে।

শোনো কাল তোমার প্রয়োজনীয় বই আমি এনে দেব। আর হ্যা তোমার ভর্তি ফি জমা দেওয়া হয়ে গেছে। (রাশের আঙ্কেল) আঙ্কেল আপনি আমার জন্য এতো কেন করছেন? কারন তোমার বাবার কাছে যে আমি চির-ঋণী। সেই ঋণের বোঝা কিছুটা হলেও হালকা করার চেষ্টা করছি কেবল মাত্র (পলাশ আঙ্কেল)

 love you forever

আঙ্কেল আপনি আমার জন্য অনেক করেছেন। কিন্তু আমি আপনার কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি নিতে পারবো না। আপনি বাবার ঋণ সোধ করতে গিয়ে আমায় ঋণী বানিয়ে ফেলছেন আমি এই ঋণগুলো কি ভাবে মেটাবো! আঙ্কেল আপনি আমায় আরেকটা উপকার করে দিতে পারবেন! কি বলো? (আঙ্কেল)💚💙 আমাকে একটা ছোটখাটো জবের ব্যবস্তা করে দিতে পারবেন?

জব করলে ত!


  • love at first sight, best romance novels, love you forever,ভালোবাসার গল্প 2021,
  • রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প কাহিনী,
  •  নতুন ভালোবাসার গল্প,


Post a Comment

0 Comments