রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প 2021-ভালোবাসার গল্প

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প 2021-ভালোবাসার গল্প. একি! মাসুদ এখানে! কি হয়েছে মাসুদের! লিমা দেখলো মাসুদ বেডে শুয়ে আছে আর মুখে অক্সিজেন মাষ্ক লাগালো। মাসুদকে এ অবস্থায় দেখার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলো না লিমা।কি করে হলো তারিকুল ভাই! (লিমা) আমি জানি না। আগেরদিন ক্যাম্পাছে মাসুদকে একটা ফোন কিনে দিছিলাম। রাতে ওর নাম্বার থেকে রাতে কল আসে। তখন একজন অরিচিত লোক বলে মাসুদের এক্সিডেন্ট হয়েছে। যদি সেদিন ওকে ফোন না দিতাম তবে আজ হয়তো মাসুদকে আর পেতাম ও না। (তারিকুল) ডাক্তার কি বললো ভাইয়া! (লিমা)

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প 2021-ভালোবাসার গল্প

ডাক্তার ওর সম্পর্কে কিছুই পরিষ্কার ভাবে বলে নি। কখন জ্ঞান ফিড়বে কিছুই বলেনি। (তারিকুল)
আমি জানি মাসুদের কিছুই হবে না ও ঠিক হয়ে যাবে ও অবশ্যই ঠিক হয়ে যাবে (কাদতে কাদতে লিমা)
লিমাকে রেখে তারিকুল ক্যাবিন বেড়িয়ে গেলো। তারিকুলের প্রচন্ড রাগ হচ্ছে লিমার উপর কিন্তু কিছু বলতে পারছেনা কেন না লিমা হলো তার প্রিয় মানুষটার ভালোবাসা।

তারিকুল বেড়িয়ে যাওয়ার পর লিমা মাসুদের কাছে বসলো। আজ নিজের কাছেই নিজেকে খুব বড় অপরাধী মনে হচ্ছে লিমার। মাসুদের এ অবস্থার জন্য নিজেকেই দায়ী করছে লিমা।
আজ ৩দিন হয়ে গেলো মাসুদের জ্ঞান ফেড়ে নি। লিমাও এই ৩দিন মাসুদকে রেখে এক মুহুর্তের জন্যও কোথাও যায় নি। সব সময় মাসুদের সুস্থ্যতা প্রার্থনা করেছে। লিমা এই রূপ দেখে তারিকুলের ও লিমার উপর থেকে রাগ সরে গেছে।
বিকাল বেলা,

ভালোবাসার গল্প কথা


তারিকুল ডাক্তারদের সাথে কথা বলছে আর লিমা বসে আছে মাসুদের মাথার কাছে। সে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মাসুদের মুখখানির দিনে। হঠাৎ সে খেয়াল করলো মাসুদের চোখের পাতা নড়ছে।
সে চিৎকার করে তারিকুলকে ডাকতে লাগলো। তারিকুল ক্যাবিনে এসে দেখে মাসুদ আস্তে আস্তে চোখ খুলছে। তারিকুল আর লিমা মাসুদের দুই পাশে বসা। মাসুদ চোখ খুলতেই, ভাই! ভাই দেখ আমী তারিকুল। (তারিকুল) (মাসুদ চুপচাপ শুয়ে আছে) আমায় ক্ষমা করে দাও আমার ভুল হয়ে গেছে আর কোন দিন তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবো না। please আমাকে ছেড়ে যেও না। (অন্য পাশ থেকে লিমা মাসুদের হাত সক্ত করে চেপে ধরে) তারিকুল আমি কোথায়? (মাসুদ)

তুই তোর শ্বশুর বাড়ী আছিস। শালা সুইসাইড করতে গেছিলি কেন? (তারিকুল) কি বলছিস এসব! আমি কেন সুইসাইড করতে যাবো? (মাসুদ) তো তোর এবস্থা হলো কি করে? (তারিকুল) দাড়া মনে করে নিসে দিন রাতে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে পরি। বাইড়ে বৃষ্টি হচ্ছিলো আর স্বাড়াদিন কিছু না খাওয়ার ফলে ভালোকরে চলতে পারছিলাম না। হাটতে হাটতে কোথায় যাচ্ছিলাম কিছুই বলতে পারছিল না। চোখে ঝাপসা দেখছিলাম হঠাৎ কি যেন একটা এসে প্রচন্ড জড়ে ডাক্কা মাড়ে তারপর আর কিছউ মনে করতে পারছি না। (মাসুদ)

আমার জন্যই সব কিছু হয়েছে। তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও আমার ভুল হয়ে গেছে। (লিমা) তারিকুল ওকে চলে যেতে বল। (মাসুদ) আমি যাবো না। তুমি যাই বলো আমাকে যাই করো আমার সাথে আমি তোমাকে ছেড়ে যাবো না। (লিমা) তারিকুল! (মাসুদ) তারিকুল নিজেই ক্যাবিন থেকে বেড়িয়ে গেলো। লিমা মাসুদকে জড়িয়ে ধরে তার বুকে মাথা রাখলো। মাসুদ লিমাকে ছাড়াতে চেয়েও পারলো না। হয়তো লিমা ছাড়ানোর কোন ইচ্ছাই ছিলো না মাসুদের। কারন লিমাকে বুকে জড়িয়ে নেওয়াটাইতো ছিলো তার সপ্ন। কিন্তু মাসুদ এখনো ভুলেনি সেই আগের দিন গুলোর কথা। তাই লিমার সাথে একটু খারাপ ব্যবহার করছে।

valobasar golpo 2021

কিছুক্ষন পড়েই তারিকুল মাসুদ ও লিমার জন্য খাবার নিয়ে আসলো। লিমা তুমি এই চারদিন ঠিকমতো কিছুই খাওনি আজ অন্তত্য খেয়ে নাও আর মাসুদকে এটা খাইয়ে দাও। (তারিকুল) তারিকুল! (মাসুদ) তারিকুল আর কোন কথা না বলেই বেড়িয়ে গেলো। লিমা খাবার গুলো হাতে নিয়ে। নাও হা করো (লিমা) না আমি খাবোনা। হা করতে বলেছি কিন্তু! (লিমা) বলছিনা খাবো না। একবার বললে কানে যায় না! (চিৎকার করে বললো মাসুদ) ঠিক আছে তাহলে আমিও খাবোনা। (লিমা) লিমা খাবারগুলো পাশে টেবিলে রেখে দেয়। তারপর আবার মাসুদকে জড়িয়ে ধরে তার বুকে মাথা রাখে। মাসুদ চার দিন অজ্ঞান থাকার ফলে সে ঠিকমত হাত, পা লাড়াতে পারছিলো না তাই সে লিমাকে সড়িয়ে দিতেও পারলো না।

কিছুক্ষনের মধ্যেই লিমার শক্ত করে জড়িয়ে ধরা হাত তার বাধন ছেরে দেয় এবং লিমা চেয়ার থেকে পড়ে যায়। মাসুদ চিৎকাক করে ডাক্তারকে ডাকতে থাকে। মাসুদের চিৎকার শুনে বাইড়ে থেকে তারিকুল ভিতরে এসে দেখে লিমা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। তারিকুল লিমাকে ধরে পাশের বেডে শুইয়ে দেয়। ভাই তুই লিমাকে আর কষ্ট দিস না।

ভালোবাসার গল্প

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প 2021-ভালোবাসার গল্প


আমি জানি ও তোর সাথে যা করেছে তা ঠিক করে নি কিন্তু এখন ও ওর ভুল বুঝতে পেড়েছে। জানিস তুই যএ কয়দিন অজ্ঞান ছিলি লিমা তোকে ছেড়ে এক মুহুর্তের জন্যেও কোথাও যায় নি। আরে আমিও তো তিন বেলা নিজের মতো কর খেয়েছি কিন্তু লিমা ঠিক মতো একটা ভাতও মুখে দেয়নি। অনেক কেঁদেছে এই কয়দিন ভাই আর কাদাইস না ওকে। (তারিকুল) (মাসুদ চুপকরে শুয়ে আছে) তারিকুল লিমার মুখে পানির ছিটা দিতে থাকলো এতে করে লিমার জ্ঞান ফিড়লো। জ্ঞান ফেড়ার পর লিমা বেড থেকে উঠে এসে আমার মাসুদের পাশে বসলো। লিমা আমার খুব খুদা লেখেছে।

মাসুদের একথা শুনতেই লিমার মুখে এক চিতলে হাসি ফুটে উঠলো। সে খুশি মনে টেবিল থেকে খাবারগুলো নিয়ে আসলো। হুম খাবো তবে একটা শর্ত আছে! কি শর্ত? (লিমা) আমার সাথে তোমাকেও খেতে হবে। ঠিক আছে (লিমা) এরপর লিমা মাসুদকে খাইয়ে দিলো এবং নিজেও খেলো। এরপর মাসুদকে আরো ৩দিন হাসপাতালে রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারিকুল আমাকে তোর বাড়ী একটু থাকতে দিবি! কেনো তুই তো এখন লিমাদের বাড়ী থাকবি। (তারিকুল) না ভাই আমি ও বাড়ী আর যাবো না। তোর কাছে রাখতে যদি সমস্যা হয় তবে আমি অন্য কোথাও মেনেজ করে নিবো।

বাংলা ভালোবাসার গল্প

না ভাই চল তুই আমার সাথে চল। (তারিকুল) মাসুদের এরূপ আচরনে লিমা খুব কষ্ট পায়। লিমা কাদতে কাদতে বাড়ী চলে যায় আর মাসুদ চলে আসে তারিকুলের সাথে তারিকুলের বাড়ী। মাসুদকে বাড়ী আনতেই শিউলি ছুটে আসে মাসুদের কাছে। ভাইয়া এখন কেমন আছেন? (শিউলি) হুমম ভালো। তা তুমি এতোদিন আসো নি কেন? আসলে ভাইয়া সেদিন ক্যাম্পাস থেকে ফিড়েই আমি নানু বাড়ী চলে যাই। তাই আর আসা হয়নি। (শিউলি)

ভালোবাসার গল্প কাহিনী

ও তো কতদুর এগুলো তোমাদের প্রেম কাহিনী? আর এগুনো! আপনার এক্সিডেন্টের পর তারিকুলের সাথে এক মিনিট কথাও বলতে পারি নি! (শিউলি)আচ্ছা এখন আমি আছি না সব ঠিক হয়ে যাবে।
আচ্ছা ভা

Post a Comment

0 Comments