দুষ্টু মিষ্টি রোমান্টিক প্রেমের গল্প || New Short Love Story
এই তুই এত কেয়ারলেস কেন? তোর হিমু পছন্দ না? হ্যা পছন্দ। হিমুর সাথে তোর কেয়ারলেস হওয়ার সম্পর্ক কি? সম্পর্ক আছে।হিমু কেয়ারলেস তাই আমিও কেয়ারলেস না তুই কেয়ারলেস হবি না।আমার কেয়ারিং হিমু পছন্দ।তুই আমার কেয়ারিং হিমু হবি এএএএ তোর জন্যে কি পুরো হিমুকে পাল্টে দিব আমি?? পাল্টে দিতে কে বলছে।তুই খালি একটু কেয়ারিং হবি।জানিস খুব ইচ্ছে আমার একটা কেয়ারিং বয়ফ্রেন্ড হবে
তাহলে তো তোর ইচ্ছে পূরণ করতেই হয়। আচ্ছা যা আজ থেকে আমি কেয়ারিং হিমু হলাম লাভ ইউ হ্যা লাভ ইউ। কেয়ারিং হলেই লাভ ইউ
নইলে হারামী হ্যা।চল এখন আমাকে বাসায় পৌছে দে চল।আচ্ছা একটা কথা বলি?? হ্যা বল বিয়ের পরও কি তুই আমার সাথে তুই- তোকারি করবি? হ্যা করব।কোন সমস্যা? না।সমস্যা থাকলেও বলব না। যে রাক্ষসী মেয়ে। সমস্যা আছে বললে এখনই চিবিয়ে খেয়ে ফেলবি হি হি হি যাই লাভ ইউ বাবু লাভ ইউ ঠু ময়না
বলেই জারিন গেট খুলে বাসার ভেতর চলে গেল।আর রাহাত তার মেসে চলে গেল রাহাত একাদশ শ্রেণীতে পড়ে আর জারিন অনার্স প্রথম বর্ষে।এইটাই ব্যবধান ওদের মধ্যে। যা নিয়ে জারিন প্রায়ই চিন্তা করে। সম্পর্কের
শুরুতে জারিন বলেছিল রাহাতকে তুই অত চিন্তা করিস ক্যান? না চিন্তা করব না আয় দুইজন মিলে নাচি হ্যা আয় নাচি থাপড়িয়ে তোর দাঁত ফেলে দেব আর আমি তোরে উম্মাহ দেব তুই অসম্ভব খারাপ তুই ভাল আসলে রাহাতের মনে কি আছে তা শুধু সে নিজেই জানে. সম্পর্কটা শুরু হয়েছে বেশিদিন না। তবে এই কয়দিনে জারিন রাহাতকে অনেক বেশিই ভালবেসে ফেলেছে।
রোমান্টিক প্রেমের গল্প
প্রতিটা মূহুর্ত শুধু রাহাতকে নিয়েই স্বপ্ন বুনে রাহাত সেই স্বপ্নকে আরো জোরালো করে। সে জারিনের সাথে সংসার করার স্বপ্ন দেখে এবং জারিনকে স্বপ্ন দেখায়।রাহাত তার মেয়ের নামও ঠিক করে রেখেছে। তিশা হবে তাদের মেয়ের নাম।তবে জারিনের কিছু বাচ্চামি স্বভাব আছে।
এই কারনে সে প্রায়ই রাহাতের কাছে বকা খায়. তুই আমার সিনিয়র না? জারিন মাথা নীচু করে জবাব দেয়. হ্যা - তাহলে তোর ভেতর এই বাচ্চা স্বভাব কেন? আমি কি জানি -আরেকদিন যদি এমন বাচ্চামি স্বভাব দেখি তাহলে থাপড়িয়ে তোর দাঁত ফেলে দেব বড় ছোট মানব না আচ্ছা - আয় কাছে আয় একটু আদর করে দেই না আসব না।
তুই আমাকে বকা দিয়েছিস -বকা কি সাধে দিছি? তুই এমন না করলেই হত হুমম।আচ্ছা যাই আমি -কই যাস? বাসায় বাসায়কেন? আমার কাজ আছে।আর বই কিনেছি অনেকদিন। পরীক্ষা দুইদিন পরে। ওইগুলো ছুঁয়েও দেখি নি। আমার তো বাচ্চামি স্বভাব।এখন বড় হয়ে দেখাব -আমার মিষ্টিটা কি রাগ করেছে? কই না তো
মিষ্টি প্রেমের গল্প
- রাহাত বুঝতে পারল জারিন রাগ
- করেছে এবং খুব
- বেশি।তার রাগ ভাঙাতে রাহাত মুহূর্তেই হাটু
- গেড়ে বসে জারিনের হাত ধরে প্রপোজ করল।
- এইটা জারিনের খুব পছন্দ।একদিন
- সেইটা রাহাতকে বলেছিল আর তারপর
- থেকে যখনই
- জারিন রাগ করে তখনই রাহাত এই
- কাজটা করে
- জারিন হাসছে।আর রাহাত হাটুর ওপর সমস্ত
- শরীরের ভর দিয়ে সেই
- ভুবনজয়ী হাসিটা দেখছে
তার মানে তোকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি থাকব। আর আমার শ্বশুর এই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবে। তাহলে শ্বশুরমশাই বিরোধীদল আর আমি সরকারি দল।আর তুই যেহেতু ওনার মেয়ে তাই তুই ও বিরোধীদল ~হি হি হি।চমৎকার যুক্তি।আচ্ছা এখন শুন -হুম বল ~আমার পরীক্ষা।
দুষ্টু মিষ্টি রোমান্টিক প্রেমের গল্প
- জারিনকে বাসায় পৌছে দিল রাহাত।বাসায়
- ঢুকার আগে জারিন অনেক কান্না করেছিল।
- যা রাহাত দেখে নি।
- জারিন পড়াশোনায় মনযোগ দিল।তবে হ্যা এই
- দুইদিনে রাহাত একটা বার ও জারিনকে কল
- দেয় নি।
- জারিন ও জেদ করে বসল যে সে ও কল
- করবেনা
- আজকে কেন জানি জারিনের হঠাৎ
- ফেসবুকে যাওয়ার খুব ইচ্ছে হল।তাই
- সে ফেসবুকে লগ
- ইন করল।রাহাতকে অনলাইনে দেখতে পেল সে
- .
- কেমন আছ???
- ভাল
- মনে আছে আমাদের সম্পর্কের দ্বিতীয় দিন
- তুমি কি বলেছিলে???
- .
- কেয়ার করব ঠিক ততটাই
- যতটা তুই করবি
- বেশি করলে স্বার্থপর হয়ে যাবি
জানো? স্বার্থপর এখন তুমি হয়ে গেছ। ভালবেসে যদি একটু সুখই না পাই তাহলে সেই ভালবাসার দরকার নাই আমার।তোমাকে আমি খুব বেশি কেয়ার করি তো তাই আমাকে কেয়ার করার প্রয়োজন হয় না। আমি কালকে সারাটা দিন একটা ম্যাসেজের অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু পাইনি।
জানিনা পরীক্ষাটা দিয়ে আয় তোর সাথে কথা আছে। আমারও কিছু কাজ আছে।ভাল থাকিস কি কথা? এখন না পরীক্ষা শেষ হলে বলব. কেন শুধু শুধু টেনশন দিস? টেনশন করিস না।পরীক্ষা দিস ভালমতে. আমি মারা যাব -একটা স্বার্থপরের জন্য মারা যাস না।
হঠাৎ প্রেমের গল্প
- আমি সিদ্ধান্তহীন।কি করব
- বুঝতে পারছিনা।
- ভাবি তোমাকে কাছে টানার চেষ্টা করব।
- তারপর
- আবার ভাবি এতে যদি তুমি বিরক্ত হও।
- যদি আমাকে ছেড়ে চিরতরে দূরে সরে যাও।
- তাহলে আমার কি হবে।যত দিন
- যাচ্ছে আমি ততই
- তোমাকে ভালবেসে যাচ্ছি।জানিনা ঠিক
- কি না।
- ভাবতেছ মেয়েটা কত নাছোড়বান্দা।পিছু
- ছাড়াতে চাচ্ছি।তবুও ছাড়ছে না।
- পিছনে জোকের মত
- লেগে আছে।যে সময় এই কথাটা ভাবি তখন
- সরে আসি
- নানান প্রতীজ্ঞা করি
- যে আর ম্যাসেজ দিব না
- আর ভালবাসব না
- আর বিরক্ত করবনা।
- কিন্তু আবার যখন মনে হয়
- যে তুমি চেষ্টা করতে বলেছিলে তখন আবার
- ফিরে আসি।
- আবার তোমাকে জ্বালাতন করি
- ম্যাসেজ দেই।
- আবার ভালবাসতে শুরু করি।
- আবার বিরক্ত করতে শুরু করি।
- এইটাতেও সমস্যা।আমি যে কি করব
- তা বুঝতে পারছিনা।তুমি একটু বলে দাও
- না আমি এখন কি করব।
- তবে তোমাকে ভুলে যেতে বল
- না।সেইটা আমি পারব না।সত্যিই পারব না।
- ভালবাসি বাবু
- বাসব আজীবন
- কেন শুধু শুধু আমাকে অপরাধী করছ???
- জারিন তার জবাব দেয় নি।সেইদিন
- থেকে জারিন
- নিজের কাছেই
- বলে গেছে আমি রাহাতকে ভালবাসি।আর
- কখনই
- রাহাতের সাথে দেখা বা ম্যাসেজ
- দেওয়া কিছুই
- করে নি।একমনে অপেক্ষা করে চলেছে।মা-
- বাবা বিয়ের জন্য অনেক জোরাজুরি ও
- করেছেন কিন্তু
- লাভ হয় নি।জারিনের একটাই
- কথা সে বিয়ে করবে না
0 Comments